জনজীবনে অস্থিরতা সৃষ্টি করার পাশপাশি দেশ, জাতি, বুদ্ধিজীবীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ইমেজ ক্ষুন্ন করে ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচারিত ভুয়া নিউজ, ছবি, ভিডিও সরাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম এবং ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান এ নোটিশ পাঠান।
ই-মেইল ও রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য - প্রযুক্তি সচিব, তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সচিব, বিটিআরসি, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের মহা-পরিদর্শক, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহা-পরিচালক, ইউটিউব এলএলসি, মেটা প্ল্যাটফর্ম, ইনক (ফেসবুক), মেটা প্ল্যাটফর্মের (ফেসবুক) বাংলাদেশের হেড অব পাবলিক পলিসি শাবনাজ রশিদ দিয়ার কাছেও এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অনলাইন স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী, দর্শক এবং গ্রাহক বেড়েছে। কিন্তু কনটেন্ট নিয়ে ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশে তাদের সুপারভাইজরি মেকানিজম বা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করেনি। যেখানে দেশে ও দেশের বাইরে ইউটিউব ও ফেসবুকে ভুয়া নিউজ, ছবি, ভিডিও প্রচার করে দেশ, জাতি, বুদ্ধিজীবীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ইমেজ ক্ষুন্ন করছে।
আরও বলা হয়েছে, এ অবস্থায় নীতিমালার অভাবে কোনো ফ্যাক্টচেক ছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে ভুয়া নিউজ ছড়াচ্ছে। এটি বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৬৪, ৯৭ এ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮ এবং ২৫, আইসিটি আইনের ৪৬ ধারার এবং সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
নোটিশে ফেসবুকে প্রচারিত কয়েকটি ভুয়া তথ্যের লিংকও উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব লিংক ব্লক এবং সরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, ইউটিউব ও ফেসবুকের কার্যক্রম মনিটর, আইন অনুসারে প্রতিনিয়ত প্রতিবেদন দাখিল এবং অনলাইনের সব নিউজ পোস্ট, ভিডিও লিংককের ভেরিফাইয়ের বিষয়ে আইন অনুসারে জবাবদিহির মেকানিজম তৈরি করতে বলা হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :