স্মৃতিচারণ
সৌরভ চক্রবর্তী
যাদবপুরের ভর্তির পরীক্ষা নিয়ে দু একটা লেখা দেখতে পাচ্ছি। এই সময়ে পুরোনো কথা কিছু আবার বলতে মন চায়।তাই এই লেখা। অনেকদিন আগে টুকরো টুকরো করে অনেক কথা লিখেছিলাম। সেগুলো জুড়ে, ছেঁটে কেটে একটা লেখা করে দিলাম। অনেকদিন আগের কথা। যাদবপুরের ভর্তির খোঁজখবর নিতে এসেছিলাম। শুনলাম কম্পারেটিভ লিটারেচার নামটা। দাদা গোছের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপারটা কী। সে বলেছিল এখানে বাংলা আর ইংরিজি সাহিত্যের তুলনা করা হয়। আরেকজন বলেছিল ওটা নিশ্চয় বিশ্ব সাহিত্য। ওখানে চিন , জাপান এসব দেশের সাহিত্য পড়ানো হয়। যাক গে, ভর্তির পরীক্ষা দিতে গেলাম। একটা প্রশ্ন এসেছিল মিডিয়া বিস্ফোরণ সাহিত্যের মৃত্যু ডেকে আনছে। তুমি কি মানো?আমি কেমন একটা হ্যাঁ আবার নাও এই গোছের উত্তর লিখেছিলাম। পরে মনে হল এটা ঠিক করি নি। পরিষ্কার না লেখা উচিত ছিল। যাকগে, চান্স পেলাম। গিয়ে বুঝেছিলাম কেনো পেয়েছিলাম। বিভাগের বেশ কয়েকটা সুরের মধ্যে একটা সুর ছিল হ্যাঁও আবার নাও। আমি কিছু না জেনেই সুর টা কিভাবে মিলিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর ভর্তি হলাম। আগেই দুটো কথা শুনেছিলাম। এদুটো কথা সবাই ই শোনে। বুদ্ধদেব বসু এই বিভাগ তৈরি করেছিলেন। আর নবনীতা দেব সেন ওখানে পড়ান।গিয়ে আরো জানলাম কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, নরেশ গুহ ও ওখানে পড়াতেন। আরো শুনলাম কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত ও ওখানে পড়ান। আর সব কবিদের ক্লাস আমি পাই নি। কিন্তু নবনীতাদি আর প্রণবেন্দু বাবুকে আমি পেয়েছিলাম। কবিপরিচিতি ছিল না এমন অধ্যাপকরাও অধ্যাপক হিসেবে কিছু কম ছিলেন না। এরম একজন অধ্যাপক ছিলেন স্বপন বাবু। গম্ভীর গলা। রাগী রাগী দেখতে। দেখলেই ভয় আর শ্রদ্ধায় মাথা ঝুঁকে যেত। প্রথম বছর পড়িয়েছিলেন Tristan আর কম্বন তুলসীর রামায়ণ। সেসব কথা মনে পড়লে আজও মনটা খুশিতে ভরে যায়। সিলেবাস, টেক্সট, ক্লাস এসব নিয়ে আর বেশি কথা লিখলাম না। আগেরবার লিখে সাড়া পাই নি। হয়তো, ছাত্রজীবন শেষ হলে ওসব কথা অনেকটা বেকার হয়ে যায়। অনেক টা ভুলেও গেছি। যেটুকু মনে আছে এই বেলা লিখে ফেললাম।
আপনার মতামত লিখুন :