সাইন্সের গিনিপিগ
--------------
সাইন্সের গিনিপিগ আমরা সবাই,
নিজেদেরকে সাইনটিস্ট হয় না মনে তাই ।
এইটের পাঠ চুকিয়ে যখন নাইনে উঠলাম,
সাইন্স, আর্টস, কমার্সের মাঝে যে ফেসে গেলাম!
ভালো লাগেনা পড়তে মোর ভূগোল কিংবা সমাজ,
ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ পড়ার সময় হলো নামাজ।
যার ভালো লাগেনা সমাজ সে কি পড়বে আর্টস,
বিজনেস করতে চাইনা আমি কি করে নেই কমার্স।
এবার তবে বাদবাকি পড়ে রইলো সাইন্স,
বুঝে এবার পড়তে হবে ফিজিক্স- কেমিস্ট্রির লাইনস।
বায়োলজি কেমন করে বাদ দেই আমি,
জীবনজ্ঞান ছাড়া মোদের জীবন চলবে নাকি!
এরই মাঝে কোথা হতে এলো হায়ার ম্যাথ,
ম্যাথ তো একাই একশ, কীসের হায়ার ম্যাথ!
সবেতো গেলো সাইন্সের সাবজেক্টস রয়েছে বাকি অনেক,
চোখ মেলে দেখি রয়েছে বাকি প্রায় সাবজেক্ট দশেক।
বাংলা, ইংরেজি আবশ্যক কোনো উপায় নাই,
বাঙালি হয়েও পরের ভাষার বুলি আওড়াই তাই।
তার মাঝেই উড়ে এসে জুড়ে বসলো সমাজ,
সাইন্সের মাঝে কাবাবের হাড্ডি হয়ে গেলো আজ।
যেই সাবজেক্ট এড়াতে পড়লাম না আর্টস তবে,
সেই দেখি সাইন্সেও ছাড়েনা আমাকে।
ধর্ম মোদের জীবনে চলার দেখায় সঠিক পথ,
আল্লাহর পথে চলেই তবে পাবো সুখের রথ।
ইসলাম শিক্ষা পড়তে তাই আপত্তি নেই আজ,
কিন্তু হাজারো সাবজেক্ট দেখে মাথায় পড়ে বাজ।
বাংলা মোদের প্রাণের ভাষা নেই কোনো ওজোর,
কিন্তু ব্যাকরণ পড়তে গেলেই হয়ে যাই বোর!
শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে তাই,
আইসিটির বিকল্প আর কোনো উপায় নাই।
ভেবেছিলাম পড়বো শুধু ফিজিক্স- কেমিস্ট্রি-বায়োলজি,
অন্যান্য ও এখন থেকে পড়তে হবে রোজই ।
সব মিলিয়ে খিচুড়ি পাকিয়ে হবে এবার ভোজ,
ছাত্র জীবনে এমন ভোজ চলবে রোজ রোজ।
আইনস্টাইনের মাথা একই সাথে চলতো দুই দিকে,
আমরা তারও আগে , মাথা ঘামাই বারো দিকে।
সৎ ভাবে চলি আমি, এটাই জীবনের মূলনীতি,
তবু ওরা পরীক্ষাতে করছে চিটিং দেখি
কোনো ভাবেই ১ নাম্বার কম পাওয়া যাবে না,
তিরস্কারের বেলায় আছে সবাই প্রশংসার বেলায় না।
তাই মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা রোজ করি,
নিজের সম্মান যেনো আজীবন বজায় রাখতে পারি…
-----------
তনিমা বিনতে বাশার
নবম শ্রেণি,
সাইন্স, রোল:০১ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ।
আপনার মতামত লিখুন :