বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলছে না অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাই সঞ্চয় ভাঙ্গতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র বিক্রি যেমন তলানিতে নেমেছে, তেমনি মেয়াদ শেষের আগেই অনেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ায় মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। এ কারণেই ব্যাংক আমানত ও সঞ্চয়পত্রেও বিনিয়োগ নিম্নমুখী।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের উত্তাপ বিশ্ববাজার হয়ে ছড়িয়েছে দেশের প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যে। ১১ বছর ৩ মাসের রেকর্ড ভেঙ্গে আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছাড়ায় সাড়ে ৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরেও ছিল ৯ শতাংশের ওপরে।
বাড়তি এই ব্যয়ের চাপ সামাল দিতে পারছে না নির্ধারিত আয়ের মানুষ। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সুদের হার কমায় এর ওপর নির্ভরশীলরা হিমশিম খাচ্ছেন জীবন যাপনে।
সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য এখন আগের মতো দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিনমাসে নিট বিক্রি মাত্র ৩৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিল ৮ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে আসল পরিশোধের তুলনায় ৭০ কোটি টাকা বিক্রি কম ছিল। ব্যাংক ও সঞ্চয় অধিদপ্তরের শাখায় নিয়মিত আসছে সঞ্চয়পত্র ভেঙ্গে ফেলার আবেদন।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারে মানুষের প্রকৃত খরচ বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি। তাই সঞ্চয়ের সুযোগ কমেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :