জমিদার রায়বাহাদুর প্রসন্ন কুমারের বাড়ির ভগ্নপ্রায় ফটক
উত্তম কুমার আচার্য্য
১৮০০ শতকে জমিদার প্রসন্ন কুমার রায় তাঁর জমিদারী ও এই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন করেন। তিনি খুবই প্রভাবশালী একজন জমিদার ছিলেন। তাঁর জমিদারী সুদূর মহেশখালী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে রায় বাহাদুর উপাধি পান। চট্টগ্রামের আনোয়ারার পূর্ব কণ্যারা গ্রামের পরৈকোড়া ইউনিয়নের রায়বাহাদুর প্রসন্ন কুমারের জমিদারি ছিল বৃটিশ শাসনামলে। যখন চট্টগ্রাম এবং ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ ছিল না। তখন জমিদার প্রসন্ন কুমারের বাড়িতে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলত জেনারেটরের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি। তার বাড়িতে কলকাতা থেকে নামকরা শিল্পীরা আসতেন। আগত শিল্পীরা নাচগানের আসর বসাতেন জমিদার বাড়িতে। মহারাষ্ট্রের ধ্রুপদী গায়িকা কাননবালা ও কলকাতার বিখ্যাত নাট্যদল ‘নট্ট কোম্পানি’-র দল জমিদার বাড়িতে জলসার আয়োজন করতেন। কাননবালা অনেকদিন চট্টগ্রামে থেকে যান এবং চট্টগ্রাম শহরের লাভলেনস্থ কালিবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। নামকরা শিল্পীদের আনাগোনায় গ্রামটিও শিল্প সংস্কৃতির প্রভাবে প্রভাবিত হয়।
জমিদার প্রসন্ন কুমার রায় ১৮৯৭ সালে মধ্য ইংরেজি স্কুল প্রথম চালু করেন। এ ছাড়া তিনি অসংখ্য জনসেবামূলক কাজ করেছেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। মহেশখালী দ্বীপের অধিপতি ছিলেন প্রসন্ন কুমার রায় বাহাদুর।
আপনার মতামত লিখুন :